আউটসোর্সিং এবং ফ্রিলেন্সিং কি?
আউটসোর্সিং কি?
আউটসোর্সিং হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোনো দেশের লোকদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেওয়া।
মনে করেন আপনার একটি কোম্পানি আছে। আপনি আগামি সপ্তাহে একটি বার্ষিক মিট-আপের আয়োজন করতে যাচ্ছেন যেখানে আপনার একটি ব্যানার প্রয়োজন। আপনি আপনার এলাকার একটি দোকানে/বাজারে গেলেন ব্যানার ডিজাইন করার জন্য। কিন্তু ওই ব্যানার ডিজাইনার অনেক বেশি টাকা চায়। আপনার জানামতে আপনার পাশের একটি এলাকায় অনেক কম টাকাতেই ভালো ব্যানার ডিজাইন করে থাকে। আপনি স্বাভাবিকভাবেই ওই অন্য এলাকার ডিজাইনারের কাছ থেকেই ব্যানারটি ডিজাইন করে নিবেন। এখন আপনি বলতে পারেন আপনি আউটসোর্সিং করেছেন। প্রকৃত অর্থে একদেশের ব্যক্তি/কোম্পানি অন্যদেশের ব্যক্তি/কোম্পানি দ্বারা কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে আউটসোর্সিং বোঝায়।
ফ্রিলেন্সিং কি?
Freelancing এর বাংলা হচ্ছে মুক্তপেশা। ফ্রিলেন্সিং বলতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিনে না থেকে মুক্তভাবে কাজ করাকে বোঝায়। যারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে বলা হয় ফ্রিলেন্সার ( Freelancer ).
আরও সহজ ভাবে বলা যায়, একজন ফ্রিলান্সার হচ্ছে আত্ম-কর্মশীল, যে কোন নির্দিষ্ট কর্মদাতার অধীনে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ না করে ইন্টারনেটে ঘরে বসে নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি, এজেন্সিতে নিজেদের নিযুক্ত করে শ্রম দেয় । অনেকেই মনে করেন ফ্রিলেন্সিং এক ধরনের কাজ । এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । অনেকেই বলেন ”আমি ফ্রিলেন্সিং শিখবো” । ফ্রিলেন্সিং কোন কাজ না, এটি কাজ করার একটি উপায় মাত্র।
মনেকরুন, আপনি মাইক্রোসফ্?ট এক্সেলে খুবই পারদর্শী। আপনি এখন ইচ্ছা করলেই কোন কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে কাজ করতে পারেন। এতে আপনাকে ওই অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে। অপরদিকে আপনি যদি এক্সেলের এই কাজটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা এজেন্সিকে ঘরে বসে করে দেন এবং ওই কোম্পানি বা এজেন্সি আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমেই আপনার সম্মানি দিয়ে দেয় তাহলে এটি হবে ফ্রিলেন্সিং। এখানে চাকরি ও ফ্রিলেন্সিং উভয়ই কাজ করার ভিন্ন দুটি উপায়। আর এখানে আপনার কাজটি হলো এক্সেলের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ করা।
এখন আমরা যদি বলি, ”আমরা চাকরি শিখবো” বা ”আমরা ফ্রিলেন্সিং শিখবো” - এটা কেমন যেন শোনায় না? আমারা আসলে কোন কাজে দক্ষ হয়ে ফ্রিলেন্সিং এর মাধ্যমে ওই কাজটি করবো।
কি কি কাজ শিখলে ফ্রিলেন্সিং করা যায়?
আসলে, অনেক ধরনের কাজই আছে যেগুলো শিখে ফ্রিলেন্সিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়। যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল এপ ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিংসহ আরও অনেক ধরনের কাজ আছে।
আমি কোন কাজটি শিখবো?
আপনি প্রথমে উপরের কাজগুলো একটি একটি করে ইউটিউব এবং গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন। শুধু একটু প্রাথমিক ধারনা নিবেন কোন কাজটি কিভাবে করতে হয়। তারপর চিন্তা করে দেখবেন আপনার কোন কাজটি ভালো লাগে এবং কোন কাজটি আপনি দীর্ঘ সময় করলেও বিরক্ত হবেন না। কাজ সিলেক্ট করার সময় আপনি অনেক রিসার্চ করবেন, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। আর আপনি কোন কাজটা ভালো পারবেন এটা আপনার চেয়ে কেউ ভালো বলতে পারবেনা। তাই নিজে নিজেই ঠিক করবেন।
কাজ কোথায় পাবো?
কাজ পাওয়ার জন্য অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে । যেমন-
1. Upwork (.com)
2. Fiverr (.com)
3. Freelancer (.com)
4. Guru (.com) etc.
আবার অনেকে বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া থেকে ক্লাইন্ট/বায়ার খুজে কাজ নিয়ে থাকে। এখানে ক্লাইন্ট বা বায়ার হচ্ছে ওই ব্যক্তিগুলো যারা ফ্রিলেন্সারদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেয় অর্থাৎ যারা আউটসোর্সিং করে।